শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি: বাহুবলের চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের ধর্মঘটে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে ওমেরা সিলিন্ডার্স কারখানায়। জনশক্তি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এনকেএন-এর বিরুদ্ধে চলমান ধর্মঘটে বিপুল ক্ষতির মুখে রয়েছে ওমেরা সিলিন্ডারর্স। গত শনিবার থেকে এ ধর্মঘট চলছে।
জানা যায়, বাহুবল উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের অন্তর্গত নতুন বাজারে প্রতিষ্ঠিত ওমেরা সিলিন্ডার্স লিমিটেড-এ নিজস্ব শ্রমিকের পাশাপাশি চুক্তির ভিত্তিতে জনশক্তি সরবরাহ করে “এনকেএন” নামে একটি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে ওমেরার ৩৫ জনের পাশাপাশি “এনকেএন”-এর ১৫৮ জন শ্রমিক ওমেরা সিলিন্ডার্স লিঃ-এ কর্মরত আছে। চুক্তিভিত্তিক এসব শ্রমিককে মজুরী ছাড়াও মধ্যাহ্ন ভোজের জন্য জনপ্রতি ৭০ টাকা প্রদান করা হয়। গত রমজান মাসের পূর্বে কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকদের মধ্যাহ্নভোজের পরিবর্তে ইফতারের জন্য ২৫ টাকা বরাদ্দ দেওয়ার কথা জানায়। এতে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়। এ পরিস্থিতিতে এনকেএন-এর সুপার ভাইজার ও অফিসার সৈয়দ নাহিদ উদ্দিনের অনুরোধে ওমেরা কর্তৃপক্ষ ইফতারের বরাদ্দ ৫০ টাকায় উন্নীত করে। এতেও চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকরা সন্তোষ্ট হয়নি। এ পরিস্থিতিতে গত পহেলা রমজানে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকরা এনকেএন-এর অফিসার সৈয়দ নাহিদ উদ্দিন ও ওমেরা সিলিন্ডার্স লিঃ-এর ম্যানেজার (এডমিন) নূরুন্নবীর উপর হামলা করে। হামলায় আহত নুরুন্নবীকে বাহুবল হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
পরবর্তীতে “এনকেএন” কর্তৃপক্ষ শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে শ্রমিক ছায়েদ আলী, তোফাজ্জল হোসেন, সাজিদুর রহমান ও হারুনুর রশিদকে ঢাকাস্থ হেড অফিসে বদলী করে। কিন্তু ওই শ্রমিকরা বদলীর আদেশ অমান্য করে ওমেরা সিলিন্ডার্সেই অবস্থান করে এবং অন্যান্য শ্রমিকদের উশৃঙ্খল করতে থাকে। এক পর্যায়ে গত শনিবার থেকে ওই ৪ শ্রমিকের বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে এনকেএন-এর শ্রমিকরা ধর্মঘট শুরু করে এবং ওমেরা সিলিন্ডার্সের কর্মীদের কাজে যোগদানে বাঁধা দেয়। এতে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে ওমেরা সিলিন্ডার্সের নিজস্ব শ্রমিকরা কাজে যোগ দেয়।
এদিকে, গত দু’দিনের ধর্মঘটে ওমেরা সিলিন্ডার্স লিঃ-এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানটি বিপুল ক্ষতির মুখে রয়েছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে, ওমেরা সিলিন্ডার্স লিঃ-এর ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোঃ নূরুন্নবী বলেন, এনকেএন-এর শ্রমিকরা তাদের প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। এতে আমাদের প্রতিষ্ঠান ওমেরার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতিরমুখে রয়েছে।